আকাশি-সাদাদের সব মনোযোগ যেন লিওনেল মেসিকে ঘিরে। ঊরুর চোট, তার আগে লম্বা সময় জ্বরে ভোগার কারণে পেরুর সঙ্গে লিওকে খেলাননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। খানিকটা বিশ্রাম সেরে আবার অনুশীলনে ফেরেন চ্যাম্পিয়নদের দলনেতা। তবু শঙ্কা, তবু দুশ্চিন্তা, তিনি খেলবেন কিনা? খেললেও কখন নামবেন … কিংবা শুরুর একাদশে দেখা যাবে কিনা এমন অনেক কিছু।
নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে শুক্রবার সকালে কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট না পেলে যে কী হবে, সেটাই এখন জল্পনার কেন্দ্রে। তাতে অনেকটাই আড়াল হয়েছে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরকে নিয়ে পরিকল্পনা।
এটাও ঠিক, অতীতে মেসিকে ছাড়া ইকুয়েডর বা তার চেয়ে বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে টক্করে বহুবারই জিতে ফেরে আর্জেন্টিনা। তবু তাঁর মতো একজন মাঠে থাকা মানে অনেক বড় ভরসা। কারণ, আর্জেন্টিনার কর্তারা জানেন, মেসির একটা শট কিংবা একটা ম্যাজিক্যাল পাসই বদলে দিতে পারে পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। যতদূর জানা গেল, চোট থেকে অনেকটাই সেরে উঠেছেন মেসি। যদিও পুরো সময় খেলার মতো এখনও ফিট নন।
সেজন্য হয়তো শুরুর দিকে কিছুটা সময় কিংবা শেষ দিকে তাঁকে কিছুক্ষণ মাঠে দেখা যেতে পারে। মেসি শুরুতে না থাকলে ডি মারিয়ার কাঁধে থাকবে আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ব। তাঁর সঙ্গে হুলিয়ান আলভারেজ কিংবা লাওতারো মার্টিনেজের মধ্যে একজনকে নামানো হবে। আর যদি মেসি শুরুর একাদশে থাকেন, তাহলে যতক্ষণ তিনি স্বস্তিতে খেলবেন, ততক্ষণ মাঠে রাখবেন স্কালোনি। এর পর তাঁর বদলে ডি মারিয়াকে নামাতে পারেন বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ।
আর্জেন্টিনার জন্য ইকুয়েডর নতুন কোনো প্রতিপক্ষ নয়। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪০ বার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে কেবল পাঁচটিতে হেরেছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর যে পাঁচবার হেরেছে, তার মধ্যে বিশ্বকাপ আর ফ্রেন্ডলি ম্যাচই সব ক’টি। অর্থাৎ, কোপায় এখনও ইকুয়েডর হারাতে পারেনি আর্জেন্টিনাকে। তাই বলে এবারও যে হারাতে পারবে না এমনও নয়। তবে প্রতিপক্ষ যখন ইকুয়েডর, তখন মেসির পুরো সময়টা আর্জেন্টিনা পেলে ভালোই হতো। কারণ, এই দলটির সঙ্গে দারুণ অভিজ্ঞতা লিওর। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এই ইকুয়েডরের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোলও করেছেন এই মায়ামি তারকা। তাঁর গোলসংখ্যা সাতটি।