বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৮৪ লাখে পৌঁছেছে। আর মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৯ জনের। আর এ পর্যন্ত সেড়ে উঠেছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩৬৯ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ১১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫১ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৮৬ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ৯ নম্বরে। মেক্সিকোতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৯৮ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য মৃত্যু বিবেচনায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান ১২তম। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ২৪৫ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৮৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ১৬ জনের। সবমিলিয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৪৯ জন।