তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।’
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুরপাড়ের বাসায় প্রেফ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দশ বছর আগে ডিজিটাল আইনের প্রয়োজন ছিল না। এখন এর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কাউকে ডিজিটালি হেয় বা আক্রমণ করা হলে, অপবাদ দেওয়া হলে তিনি যাতে প্রতিকার পেতে পারেন, সেজন্য এ আইন করা হয়েছে।’
কারাবন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ‘সত্যিই অনভিপ্রেত’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটি খুঁজে দেখা যেতে পারে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেতন রয়েছে।’ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না। এই কালো আইনকে কবর দেওয়ার সময় এসেছে।’
এদিন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘তিনি একেক সময় একেক কথা বলেন। যেমন করোনার টিকা আসার আগে খুব সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এখন বলছেন, এই টিকা সবার নেওয়া উচিত। তিনি আজ যা বলেছেন, কাল নিজেই সে সম্পর্কে অন্য কথা বলবেন। সুতরাং এটার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’
এ সময় ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যার বিচার করবে’- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের দিনে খালেদা জিয়ার প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে যাওয়ার রহস্য বের হওয়া প্রয়োজন। যিনি দিনের বারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না, তিনি কেন সেদিন ভোরে ক্যান্টনমেন্ট ছেড়েছিলেন? তারেক রহমানের সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বললেন? এই রহস্যগুলো উন্মোচিত হলেই জানা যাবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘তখন আওয়ামী লীগ কেবল সরকার গঠন করেছে, নতুন সরকারের তখনও দুই মাস পূর্তি হয়নি, তখন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে। মামলা করার অধিকার সবারই আছে। তবে বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। ডা. শাহাদাতকে অনুরোধ করব, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে প্রশ্ন করুন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিংবা অন্য সবাই সুস্থ থাকার পরও কেন নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামে আসেননি। এমনকি চট্টগ্রামে যেসব কেন্দ্রীয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে প্রচারে নামেননি। আমীর খসরু মাহমুদকে দুই-একবার দেখা গেলেও তা সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বিএনপির স্থানীয় নেতারাও প্রথম দিকে একটু সরব থাকলেও পরে ঘরের মধ্যে চলে যান। ডা. শাহাদাতকে বলব, এই প্রশ্নগুলো দলের নেতাদের কাছে তুলে তাদের বিরুদ্ধেও যেন একটা মামলা করেন।’