বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিস্থ বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। তিনি জাতির পিতার হাতে গড়া এই সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষত, সুশৃংখল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সর্বমোট ২৫০ জন অফিসার ক্যাডেট, এক বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ৫৮তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ৩ জন অফিসার ক্যাডেট ও ৭ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২২৮ জন পুরুষ ও ৩১ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন।
এ ছাড়া কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ১ জন শ্রীলংকান অফিসার রয়েছেন যিনি নিজ সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন।
সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ এম সানজিদ ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন। তিনি ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন। এ ছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়াদ হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
কুচকওয়াজ শেষে ক্যাডেটগণ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। তারপর পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা,বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিকরা ও সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।