মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অভিবাসী কর্মী হিসেবে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। ধারা অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলা ও বৈধভাবে অবস্থানের পরামর্শ তাদের।
অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থানের জন্য এশিয়ার অন্যতম পছন্দের গন্তব্য মালয়েশিয়া। দেশটির কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রায় পুরোটাই বিদেশি কর্মী নির্ভর। এরকম পাঁচটি খাতে কর্মরত বিদেশি বৈধ কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। যা মালয়েশিয়ার মোট শ্রমবাজারের ১৪ শতাংশ। যদিও প্রয়োজনীয়তার সীমা ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা আছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের।
কঠোর পরিশ্রমী ও সততার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা ব্যাপক। এ সুযোগে প্রবাসী কর্মীর শীর্ষস্থানের দখল এখন বাংলাদেশিদের হাতে। মোট বিদেশির ৩৭ দশমিক ৯৬ শতাংশই বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিমের দেওয়া তথ্য মতে প্রায় নয় লাখ বাংলাদেশি বৈধভাবে কাজ করছেন দেশটিতে। নতুন প্রবাসী ও বৈধতার সুযোগ নিয়ে এ অবস্থানে যেতে পারায় মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ‘মহামারির পরে সৌদি আরব, কাতার, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু ভিসা বন্ধ ছিল। মালয়েশিয়াতে এ ভিসাটা খোলার পরে বাংলাদেশের বেকারত্ব জীবনের যে মানুষরা ছিল, ওই মানুষগুলো সব এখানে চলে আসছে।’
বাংলাদেশিদের এই ইতিবাচক ভাবমূর্তি ধরে রাখতে দেশটির আইনশৃঙ্খলা মেনে বৈধভাবে বসবাসের পরামর্শও দিচ্ছেন প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী লাল মোহাম্মদ বলেন, ‘উভয় দেশের সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করার জন্য, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর জন্য এটাই একটা মাধ্যম যে একটা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, সে দেশে অবস্থান করে, সে দেশের আইন মেনে, সে দেশে কাজ করে নিজের দেশ আর নিজের পরিবারকে উন্নত করা।’
এদিকে, নতুন কর্মী নিয়োগে কোটা অনুমোদন ২০২৩ সালের মার্চ থেকে বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া । বিদেশি কর্মীর নানা দিক নিয়ে চলতি বছরের মার্চে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে বৈঠক থেকে নতুন সুখবরের অপেক্ষায় প্রবাসীরা।