আনারকলি, দোলনা, ও ‘সাত ভাই চম্পা’ সিনেমার নায়িকা রোজিনাকে মনে আছে? মনে না রাখার কোনো কারণ নেই। ঢাকার সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রির সোনালী দিনের নায়িকা তিনি। সে সময় সুঅভিনয় ও গ্ল্যামার দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
ক্যামেরার সামনে দ্যোতি ছড়ানো এ নায়িকা এবার অভিজ্ঞতার কারিশমা দেখাবেন ক্যামেরার পেছনে। মানে সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি একই সঙ্গে করবেন অভিনয়ও। ছবির নাম ‘ফিরে দেখা’
বছরের একেবারে শেষের দিন ৩১ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরেই ‘ফিরে দেখা’র পোস্ট প্রডাকশন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সমকালের সঙ্গে আলাপে রোজিনা বললেন, ‘মার্চ মাসের ১ তারিখ থেক ‘ফিরে দেখা’র শুটিং শুরু করো। এখন পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। গানগুলোরও রেকর্ডিং করছি। এর মধ্যে ছবির আর্টিস্টও চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
২০১৯-২০ অর্থবছরে চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পেয়েছেন রোজিনা। গল্পটি রোজিনার নিজের। ববিতা জানালেন, ফিরে দেখার গল্পটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সত্যিকারের একটি গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে তাঁর নানাবাড়ি গোয়ালন্দে একটি পরিবারের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি।
এর আগে রোজিনা জানান, ছবিটিতে তার বিপরীতে ইলিয়াস কাঞ্চনকে নেয়ার পরিকল্পনার কথা। আজ জানালেন ছবিটিতে এই প্রজন্মের দুইজন ছেলে মেয়েকেও নেয়া হচ্ছে। নতুন এই দু’জনকে কি চূড়ান্ত করা হয়েছে? প্রশ্ন রাখলে রোজিনা জানান, বিষয়টি এখনই জানাতে পারছিনা। শুটিংয়ের যাওয়ার আগে সকলকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই জানাতে চাই।
ছবিটির জন্য রোজিনা সরকারি অনুদান পেয়েছেন ৫০ লাখ। অথচ ছবিটির জন্য তিনি যে গল্প বেছে নিয়েছেন তা প্রপারভাবে পর্দায় তুলে আনতে কয়েক কোটি টাকার প্রয়োজন বলে জানালেন রোজিনা। তবে সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ তার সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া। সব মিলিয়ে রোজিনা তার ‘ফিরে দেখা নির্মাণে এক কোটির কিছুটা বেশি খরচ করবেন। অনুদানের বাইরে বাকী ৫০ লাখ নিজেই লগ্নী করবেন বলে জানালেন এক সময়ের জনপ্রিয় এ নায়িকা।
গত বছর ২৮ অক্টোবর যুক্তরাজ্যে উড়াল দিয়েছিলেন। করোনার এই ভয়াবহতার সেখানে খুব বেশি ভালো সময় কাটেনি তার। দুই মাসের মাথায় আবার ফিরেছেন দেশে। মূলত সিনেমার কাজের জন্যই ফেরা।