আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নির্বাচনী ইস্যু নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রী বা সংসদের পদত্যাগ- এ তিনটি বিষয়ে তাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের অ্যাজেন্ডা নেই। তারা আসছে মূলত নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়। তারা আসছেন রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তেজগাঁওয়ে অস্থায়ী সভামঞ্চে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমরা যতগুলো বৈঠক করেছি কখনো তারা বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হবে, তারা কখনো বলেনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হবে, তারা বলেনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একটা সুন্দর ক্রেডিবল নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করব এটা তাদের আমরা জানিয়ে দিয়েছি।
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হবে।
তিনি বলেন, সরকার যেমন আছে তেমনই থাকবে। একটি ঢেউও তো জাগাতে পারেনি। তাদের আন্দোলনে নেতা কে? ক্যাপ্টেন ছাড়া কি জাহাজ চলবে? এ জগাখিচুড়ি ঐক্যে দফায় দফায় পরিবর্তন।
এ ৩২ দল টিকবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। আগে তো ছিল ৫৪ দল। এ জগাখিচুড়ি ঐক্যের পতন অনিবার্য।
এ সময় বিএনপিসহ ৩২ দলের এক দফা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩২ দলের এ জগাখিচুড়ির ঐক্যে এক দফার আন্দোলনের পতন অনিবার্য।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি লিমিটেড, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।