আগের তুলনায় মার্কিনরা কম পরিমাণে সঞ্চয় করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে। মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও মহামারির পর অর্থ ব্যয়ের হার বেড়েছে। অধিক ব্যয়ের ফলে হ্রাস পেয়েছে সঞ্চয়ের হার।
২০২২ সালের আগে যে পরিমাণে মানুষ সঞ্চয় করত সে তুলনায় কম জমা করছে। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা অর্থনৈতিক মন্দার পর বেশি পরিমাণে অর্থ জমাতে শুরু করে মার্কিনরা। বেশি পরিমাণে সঞ্চয় করার সময়কাল ছিল ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের হার কমে দাঁড়ায় ৩.৬ শতাংশ, এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ শ্যানন সেরি গ্রেইন বলেন, ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের হার কমে যাওয়ার মাধ্যমে ভোক্তাদের বদলে যাওয়া আচরণ ধরা পড়ছে। বড় কোনো ঘটনা ছাড়া কম অর্থ জমা করার এই প্রবণতা বজায় থাকবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বর্ধিত হারে খরচ করবে। খরচ বাড়লে অর্থনীতি স্বল্প মেয়াদে শক্তিশালীও হয়।
তবে সঞ্চয়ের ঘাটতি মানুষকে ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ বেশি ভুগছে। মাসিক ভিত্তিতে আয়ের চেয়ে তাদের ব্যয় বেশি হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডে খরচ করা এর একটি বড় কারণ। কভিডের সময় মানুষের ব্যয় কমে যায়।
তখন নতুন নতুন সেবা গ্রহণে তারা আগ্রহী হয়ে ওঠে। এখন সব কিছুর দাম বেড়ে গেলেও ব্যয় করার ক্ষেত্রগুলো খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি। চাহিদা মেটাতে তারা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়িয়েছে। প্রয়োজন মনে করলে সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট থেকেও অর্থ তুলছে। সূত্র : সিএনএন