মানুষ খেতে পারছে, একজনও না খেয়ে মরেনি: ওবায়দুল কাদের
দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষ খেতে পারছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি। অনেক ভালো আছে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রোজার মাসটা আসতে দেন!’
সারা দুনিয়ায় দ্রব্যের দাম বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এখন টেলিভিশন সবাই দেখে, সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানে রীতিমত গবেষণা হয়। মানুষ বোঝে, এখানে সরকারের দোষ নেই। অর্থের যে সংকট। বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সেটা তো বাংলাদেশের একার না। সারা দুনিয়াতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা আশা করি, সামনের রমজানেও জিনিসপত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে এবং মানুষ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাবে।
গরুর মাংসের কেজি বেড়ে ৮০০ টাকা হয়ে গেছে। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, পথেঘাটে চাঁদাবাজির কারণে তারা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। ভোক্তা অধিকার বলছে, আমরা এই বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ অসহায়। বিশ্ব সংকটের পাশাপাশি চাঁদাবাজির কারণেও বাড়ছে—এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজি একটা বিষয় অবশ্যই। দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা বিষয় শুরু হলে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে এমন তো ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী বলার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। এখানে যার যে দায়িত্ব আছে পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই কিন্তু তাদের তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য একটা বিষয়। অর্থনীতিতে যখন সংকট তখন বাজার ওঠানামা করে। ওঠানামা করে এটাই স্বাভাবিক, এটা বাজারের ধর্ম। অপেক্ষা করেন, আপনাদের তো না খেয়ে (খাইয়ে) রাখিনি! দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি, অনেক ভালো আছে।