মানবিক সহায়তা বন্ধ, রমজানে আরও সংকটে ফিলিস্তিনিরা

গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় এই রমজানে ক্ষুধা ও অনাহারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করার খবরে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন গাজার বাসিন্দারা। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এক নারী রীতিমতো দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, রমজানের শুরুর দিন থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। সকল ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধে এরইমধ্যে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মিশর, কাতার ও জর্ডান এটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির এবং মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা শেষ হয়েছে। রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব পাসওভার উপলক্ষে গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। এই প্রস্তাবে এরই মধ্যে রাজি হয়েছে ইসরায়েল, তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। হামাসের সম্মতি না মেলায় ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে তা রমজানের সময়সীমা শেষ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ মার্চ এবং পাসওভার শেষ হওয়া অর্থাৎ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সংঘাত বন্ধ হতো। তবে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয় হামাস। তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ইসরায়েল। তারা প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী।

Comments (0)
Add Comment