নতুন পাঠ্যক্রমে নবম শ্রেণিতে বিভাগ-বিভাজন ভিত্তিক পদ্ধতি থাকছে না। অর্থাৎ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিকের মতো আলাদা আলাদা বিভাগ আর থাকবে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষ পাঠ্যক্রমের অধীনে ২০২২ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্তরে এই অভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি পাবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ বিশেষ অধিবেশন পুনরায় শুরু হয়।
গত বছর থেকেই সরকারের পরিকল্পনা ছিল এই পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়ার। সেই গতিতেই এগিয়ে চলছে পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের কাজ।
আগামী নবম-দশম শ্রেণিতে সবাইকে একই পাঠ্যক্রমের একই পাঠ্যবই পড়তে হবে। এতে একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। তবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে বিভাগ-বিভাজন শুরু হবে। এ লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম উন্নয়ন সংশ্নিষ্টদের নিয়ে দফায় দফায় কর্মশালা করে সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের পাশাপাশি পাঠ্যবইও বদলে যাবে। এবারই প্রথমবারের মতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম একসঙ্গে পরিবর্তন ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
সংসদে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বিল পাস
১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বিল-২০২০’ পাস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত আইনের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যে কার্যক্রম চালিয়েছে, তার আইনি সুরক্ষা থাকবে। কার্যক্রমগুলো প্রস্তাবিত আইনের অধীনে সম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কোনো কার্যক্রমকে অবৈধ হিসেবে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
বোর্ডের কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে ঘোষণা এবং তাদের অবসর গ্রহণের বয়স অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের মতো ৬০ বছর নির্ধারণ করা ছিল বলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
এতদিন ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চলছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা আছে। সেই আলোকে গত ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ নীতিগতভাবে কিছুটা সংশোধনী আনার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।