ব্যাংকের সকল স্তরের নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁদের পুরো চাকরিজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে পারবেন। প্রতিবার ছুটির মেয়াদ হবে ছয় মাস যা ব্যাংকের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব কর্মীর জন্যই প্রযোজ্য হবে।
ছুটি ভোগকালীন সময়ে তাদের স্বাভাবিক বেতন-ভাতা দিতে হবে। ছুটির কারণে কারও বার্ষিক কর্মমূল্যায়নেও অবনমন করা যাবে না।
গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকিং খাতে মাতৃত্বকালীন ছুটিসংক্রান্ত নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর একটি অংশে বলা হয়ঃ
“মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার কারণে অনেক সময় ব্যাংকে কর্মরত নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মের প্রকৃত মূল্যায়ন করা হয় না, যা নারীর উন্নয়ন, অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নের পথে অন্তরায়। এ কারণে নারী কর্মীদের ছুটি ভোগের বছরে তাদের বার্ষিক কর্ম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আগের বছর বা পূর্ববর্তী তিন বছরের গড়ের মধ্য যেটি উত্তম সেটি বিবেচনায় নিতে হবে।“
২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কর্মরত নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ ব্যাংকের মানবসম্পদসংক্রান্ত নীতিমালায় এটি অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।
এরপরও অনেক ব্যাংক মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করছিল না। আর সে কারণেই গত বৃহস্পতিবার নতুন করে এই নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।