ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স আটটি লোহার সিন্দুক খুলে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
মহামারী করোনার কারণে পাঁচ মাস পর এবার দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট দানবাক্সগুলো খুলে পাওয়া গিয়েছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা। সাধারণত তিন মাস পরপর এই দানবাক্স খোলা হয়।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাসউদের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, মো: জুলহাস হোসেন সৌরভ ও মো: ইব্রাহীম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয় এবং বিকাল পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম মসজিদের টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। গণনা শেষে উপস্থিত রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ টাকাগুলো বুঝে নেন। পরে প্রাপ্ত টাকা পাগলা মসজিদের নামে করা রূপালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদ দেখতে ও এখানে নামাজ পড়তে আসেন। তারা দান ও মানত করে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে ফান্ডে জমা দেয়া হয়।