এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা লার্ভা পাওয়া যেতে পারে, এমন স্থানের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে ১৫ মিনিটেই করপোরেশনের মশককর্মীরা সংশ্লিষ্ট স্থানে গিয়ে লার্ভা ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে হাতিরঝিলের জল নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি, আবারও ঢাকাবাসীকে বিনীত অনুরোধ করছি- আপনারা যেখানে মনে করবেন যে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে বা আশঙ্কা করবেন পানি জমে আছে তাই লার্ভা হতে পারে, তাহলে তা আমাদের জানান। জানানো মাত্রই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মশককর্মী, মশক সুপারভাইজারসহ গিয়ে সেই লার্ভা ধ্বংস করবে। আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হতে পারবো।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে। যে সময় তীব্র দাবদাহ ছিল সে সময়েও ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। আমরা বিষয়গুলো আমলে নিচ্ছি, আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করছি। ২০২১ সালে দুই মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। এটাকে বৃদ্ধি করে এখন আমরা চার মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কার্যক্রমও বৃদ্ধি করছি। এমন কেউ বলতে পারবে না যে, কোনো ঠিকানা, কোনো রোগী, কোনো স্থাপনায় লার্ভার তথ্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের মশককর্মী যায়নি।
ডেঙ্গুরোগ নির্মূল করা যায় না বরং নিয়ন্ত্রণ করা যায় জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গুরোগ নির্মূল করা যায় না। পৃথিবীর কোনো দেশ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা যদি উন্নত দেশের সঙ্গে তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। যদিও আমাদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুহার হ্রাস করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আরও নজর দিতে হবে।
পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে ওঠা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও এডিসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চলটা পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। সেখানকার বনানী-গুলশানের সঙ্গে আমাদের তারতম্য রয়েছে। ওদের সঙ্গে আমাদের মেলালে হবে না। বারিধারার সঙ্গে যদি মেলান তাহলে হবে না। উত্তরা রয়েছে, মিরপুর রয়েছে, সেখানে পরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। আমাদের এখানে পরিকল্পিত নগরায়ণ কম। এখানে জনসংখ্যা বেশি। আমাদের এখানে ছোটখাটো স্থাপনা বেশি। প্রতিকূলতা বেশি। সেই প্রতিকূলতা নিয়েই আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।