রাজনীতিপ্রযুক্তিমনস্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার দিকে এগিয়ে না গেলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হবে। বাংলাদেশকে যেন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা অন্য অনেক দেশের মতো মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক দেশ মিডল ইনকাম ট্র্যাপ বা মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়েছে। এটি একটি ভয়ানক ফাঁদ।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে ‘পলিসি ডায়ালগ অন রোডম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এ সংলাপের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টারপ্ল্যান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। সেখানে যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিঙ্কস রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারাবিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে, তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়তে হবে না।
স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী কী বাজেটীয় সহায়তা দরকার, তা নির্ণয়ে অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এক্ষেত্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকেও সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটিকে আরও অনেক এগিয়ে নেওয়া যায়। বাংলাদেশের মডেলগুলো সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে।