বিদ্যা সিনহা মিম। তারকা অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব ছবি ‘হোয়াট দ্য ফ্রাই’। এই ওয়েব ছবি, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-
‘হোয়াট দ্য ফ্রাই’ ওয়েব ছবিতে অভিনীত শামা চরিত্রের সঙ্গে চেনাজানা কোনো মানুষের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন কি?
‘হোয়াট দ্য ফ্রাই’ ছবিটি কারও জীবনী বা বাস্তব ঘটনা নিয়ে নির্মাণ করা হয়নি। এ ছবির শামা চরিত্রের সঙ্গে মিল একটাই- আমরা দু’জনই অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে কখনও ডাক্তার, উকিল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। শামা তেমনই একজন তারকা অভিনেত্রী, যার চরিত্রটি আমি পর্দায় তুলে ধরেছি। তাই এর গল্পের সঙ্গে কারও জীবনের মিল খুঁজতে যাওয়ার কোনো মানে নেই।
শামা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের কাছে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
দারুণ সাড়া পাচ্ছি। পরিচালক অনম বিশ্বাসের কাজের প্রশংসা করছেন অনেকেই। ইরেশ যাকেরের অভিনয় নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না, তার অভিনয় সম্পর্কে সবারই ধারণা আছে। গানের পাশাপাশি প্রীতম ভালো অভিনয়ও করে, তার প্রমাণ দর্শক এরই মধ্যে পেয়েছেন। ‘হোয়াট দ্য ফ্রাই’ ছবির শামা চরিত্রটিও আমার ক্যারিয়ারের জন্য একেবারে নতুন। সব মিলিয়ে নিজে যেমন কাজ করে আনন্দ পেয়েছি, তেমনি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় ভালো লাগার মাত্রা বেড়ে গেছে।
প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে অভিনয় করছেন। ‘দামাল’ ছবির কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এখন পর্যন্ত ‘দামাল’ ছবির যেটুকু কাজ করেছি, তার অভিজ্ঞতা মন্দ নয়। ভালো লাগার বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত কোনো ছবিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। এ ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ এবং ফুটবল খেলার মতো দুটি বিষয় আছে, যা এর আগে কোনো ছবিতে দেখানো হয়েছে বলে মনে হয় না।
আপনার অন্যান্য ছবির কাজ কতটুকু এগোলো?
‘পরাণ’ ছবির কাজ শেষ। ‘ইত্তেফাক’ ছবির বেশির ভাগ কাজ হয়ে গেছে। আশা করছি, শুটিং শেষ হলে এ বছরই ছবি দুটি মুক্তি পাবে।
অভিনয়ে আগের চেয়ে এখন একটু বেশি বাছবিচার করতে দেখা যায়, এর কারণ কি?
গল্প পছন্দ না হলে কাজ করতে চাই না। চরিত্রেও ভিন্নতা চাই। বলতে পারেন এখনকার প্রতিটি কাজে চরিত্র নিয়ে ভাঙাগড়া চলছে। যাতে করে প্রতিবার দর্শক নতুন এক মিমের দেখা পান।
উপস্থাপনায় আবার কবে দেখা যাবে?
আমি তো পেশাদার উপস্থাপক নই, তাই আবার কবে উপস্থাপনা করতে দেখা যাবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। করোনায় ঘরবন্দি সময় কাজে লাগাতে নিজের ইউটিউবের জন্য ‘মিম’স কাস্টডি’ অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছিলাম। এটি উপস্থাপনাও করেছি শখের বসে।