হালদা নদীতে ডলফিন রক্ষায় এবং হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই নির্দেশ প্রতিপালনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (১২ মে) এ আদেশ দেন। এই প্রথম হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদেশ দেওয়া হলো।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুম। ভার্চুয়াল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও অমিত তালুকদার।
হালদা নদীর ডলফিন রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম। জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
রিট আবেদনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক (চট্টগ্রাম বিভাগ) এবং চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে(ইউএনও) বিবাদী করা হয়েছে।
হালদা নদীতে একের পর এক ডলফিন হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে এই রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
ডলফিন হত্যার বিষয়ে ১০ মে একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে (বাংলা ভার্ষন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনডিপি’র সহায়তায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হালদা নদীতে ডলফিন বিষয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়। ওই জরিপের তথ্য অনুযায়ী, হালদা নদীতে ৪৫টি ডলফিন রয়েছে। ওই জরিপে আরো বলা হয়, এরইমধ্যে হত্যা করা হয়েছে ২৪টি ডলফিন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এভাবে ডলফিন হত্যা করা হলে ২০২২ সালের মধ্যে হালদা নদী ডলফিনশূন্য হয়ে পড়বে। বিলুপ্ত হয়ে যাবে বিপন্ন প্রজাতির এসব ডলফিন।
এইসব প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, বিবাদীরা বিপন্ন প্রজাতির এই ডলফিন রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং এই ডলফিন রক্ষায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।