ব্যয়ের চাপে দিশেহারা ভোক্তা

সদ্যবিদায়ী বছরের নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমলেও তা চড়ে আছে ১২.৯২ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে কমার এই হিসেব পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দিলেও সাধারণ মানুষ বলছেন, শীতে শাক-সবজির দাম কিছুটা কমলেও নিত্যপণ্যের বাজারে এখনও হিমশিম খাচ্ছেন আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে।

ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের চাওয়া, আয়-ব্যয়ের হিসাব যেন সহজে মেলাতে পারেন। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। আর তা সহজ করতে মূল্যস্ফীতির হিসাব পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

জানুয়ারি মাসের ৯.৫৬ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১৪ শতাংশ পার করার পর ডিসেম্বরে এসে প্রায় ১৩ শতাংশে দাঁড়ালেও এ সময়ে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি ৯.৪২ শতাংশ থেকে নেমেছে ৯.২৬ শতাংশে। বিবিএস বলছে, পণ্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে রাখা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে থাকা সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৮৬ বছরের শেষ মাসে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৮৯ শতাংশে।

ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু সবজি দিয়ে বাজার বিবেচনা করলে হবে না। অন্যান্য পণ্যের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে কমছে কেনাবেচাও।

ওঠানামার মধ্যে থাকা মূল্যস্ফীতি যখন কোনোভাবেই আসছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে, তখন সহজে ব্যয় বৃদ্ধির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির সঙ্গে অতি দরকারি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিকে আলাদাভাবে হিসাব করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে পণ্যের দাম ওঠানামা করতে পারে। ফলে ওভারঅল অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির তেমন চাপ নেই। তবে কিছু কিছু পণ্যের সেটি অনেক বেশি চাপ তৈরি করছে। তাই অতি দরকারি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিকে আলাদাভাবে হিসাব করা যেতে পারে।

এদিকে, মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলা ও গণঅভ্যুত্থানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হওয়ায় গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে করোনা পরবর্তী সর্বনিম্ন হয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি।

Comments (0)
Add Comment