নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছবি ব্যঙ্গ করে তার বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।
পোস্টারে মেয়র কাদের মির্জার শাস্তি ও দল থেকে বহিষ্কারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ওই পোস্টার কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের দেয়ালে দেয়ালে দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বসুরহাটে কাদের মির্জা এবং তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের ছবিও রাখা হয়েছে ওই পোস্টারে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘গত সাত মাসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ. কা. মির্জার (আবদুল কাদের মির্জা) রাক্ষুসে থাবায় আহত ও নিহতদের ছবি। আ. কা. মির্জার বহিষ্কারে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা।’
উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দর্শনীয় স্থানগুলোতে এই ছবি সংবলিত পোস্টার সাঁটানোর ঘটনাটি ‘টক অব দ্য কোম্পানীগঞ্জে’ পরিণত হয়েছে।
এই পোস্টার নিয়ে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মহল, বিভিন্ন হাট-বাজার আর চায়ের দোকানগুলোতে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আবদুল কাদের মির্জা প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ডিএস (ডেপুটি সেক্রেটারি) পদমর্যাদার একজন মেয়র। তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এভাবে পোস্টারিং করা হয়েছে।
এদিকে, এই পোস্টার সাঁটানোর ঘটনায় মেয়র কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে পাঠানো ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কাদের মির্জাকে ব্যঙ্গ করে পোস্টার লাগানোকে তার জন্য সম্মানহানিকর বলে উল্লেখ করা হয়। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।