পুলিশের মহাপরিচালক (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পরিবর্তিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল নিয়োগের ফলে জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট’ লোক আসবে। সম্প্রতি নতুন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া কনস্টেবল নিয়োগও একই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে পরিবর্তিত পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, নতুন প্রক্রিয়ায় কনস্টেবল নিয়োগ ছিল একটি দুঃসাহসিক কাজ। পুলিশে এক নব যাত্রার সূচনা হয়েছে। যা ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনশীল। সময়ের প্রয়োজনে সংগঠনে পরিবর্তন আনতে হয়। যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয় না তা মৃত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধনের মধ্যদিয়ে এ পরিবর্তনের সূচনা করা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ বছর পর কনস্টেবল নিয়োগে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব ও সুযোগ্য পরিচালনায় বাংলাদেশ শনৈ শনৈ উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়, ম্যাজিক। আর এ ম্যাজিকের ম্যাজিশিয়ান হলেন প্রধানমন্ত্রী। আবার সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি কর্মশালায় সংযুক্ত ছিলেন।