বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পাঁচ নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। সরকারি মাধ্যমিকের মতো বেসরকারিতেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ফি ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে লটারি কার্যক্রম ফেসবুক লাইভ বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে সরকারি প্রতিনিধি, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে। লটারির তারিখ নির্ধারণ করে সরকারের ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাউশি অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আগামী মঙ্গলবার থেকে https://gsa.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আবেদন ফি ১১০ টাকা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকবে। ৩০ ডিসেম্বর একযোগে সব শ্রেণিতে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার মাউশি অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও একইসঙ্গে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য উল্লেখিত নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটির কারণে গত রাত পর্যন্ত এই বিজ্ঞপ্তি আপলোড করা সম্ভব হয়নি।
এবার সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গুচ্ছে পৃথক আবেদন করতে হবে। তবে একটি গুচ্ছ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ৫০ শতাংশ ‘এলাকা কোটা’ নির্ধারণ করা হয়েছে।