করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিধ্বস্ত ও নাজেহাল ভারতের একটি রাজ্য ঝাড়খণ্ড জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহুল আলোচিত অ্যান্টি-ভাইরাল ঔষধ রেমডেসিভির কিনতে চায়।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রবিবার রাতে এক টুইটে জানান, রেমডেসিভির আমদানির জন্য তারা বাংলাদেশি একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন এবং আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রীর কাছে চিঠিও লিখেছেন।
ইংরেজিতে লেখা হেমন্ত সোরেনের টুইট এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায়ঃ
“ঝাড়খণ্ডে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রেমডেসিভির এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা থাকায় এবং বাজারে এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায়, আমরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৫০,০০০ শিশি কেনার জন্য বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি যতো দ্রুত সম্ভব আমদানির অনুমতির জন্য (কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী) ডি ভি সদানন্দ গৌড়া মহোদয়ের কাছে চিঠি লিখেছি।”
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তার টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়ার কাছে লেখা চিঠিটিও সংযুক্ত করেছেন।
চিঠিতে দেখা যায় তিনি নিজ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেমডেসিভির না থাকার কথা উল্লেখ করে এক মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদিত রেমডেসিভির এর ৫০,০০০ শিশি কেনার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, জটিল রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা করোনা সংক্রমিত হলে তাদের রেমডেসিভির দেওয়া হয়। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি রেমডেসিভির রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। গোটা দেশজুড়েই এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ভারতের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রটোকল ইতোমধ্যে করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভিরকে তালিকাভুক্ত করেছে।।