একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খানকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। শনিবার তাঁকে দাফন করা হবে সেখানে।
রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উনার (রাহাত খান) শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শনিবার (আজ) তাঁকে সমাহিত করা হবে। রাতে মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।’
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাহাত খান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক বিশিষ্টজন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। যার জন্য তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়াটা জটিল হয়ে পড়ায় সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।
রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা এর আগে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকরা ২৯ জুলাই তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালে থেকে কোনো লাভ হবে না। ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্টে সমস্যা থাকার কারণে কোনো সার্জারি করা যাবে না। এ জন্য বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় রাহাত খানকে।
বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী রাহাত খান। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখায়ই তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিক হিসেবেও রাহাত খানের অবদান উল্লেখযোগ্য।