ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ‘বি,বাড়িয়া’ এবং ‘বলদ বাড়িয়া’ বলে কটাক্ষ করায় চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বাদী হওয়া এই মামলার এজহার জমা দেয়া হয়। ডা. তুষারের ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্ট শেয়ারকারী ৩ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
মামলার এজহারে বলা হয়, গত ২০শে এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন ‘আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া’। এজাহারে বলা হয় ডা. তুষার কোনো কারণ ব্যাতিত এবং অনুল্লেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বি-বাড়িয়া মর্মে বিকৃত উচ্চারণে উপস্থাপন করে আইন ভঙ্গ করেছেন। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ বি-বাড়িয়াকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য ঘোষনা করেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয় তার এই নেতিবাচক উপস্থাপনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উস্কে দিয়েছে।
এই পোস্ট দিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানদের বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার। রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আসামিদের এই অপকর্মে সমগ্র জেলাবাসীর মতো আমিও অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছি। বলদ বাড়িয়া বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে।এর মাধ্যমে অন্য জেলার মানুষের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে। এরআগে বিশিষ্ট সাংবাদিক জ.ই মামুন তার ফেসবুক পোষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে মন্তব্য করলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোষ্ট দেন। ১৮ই এপ্রিল মাওলানা যোবায়ের আহমেদ আনসারীর নামাজে জানাযায় লাখো লোকের সমাগমের পর তিনি পোষ্ট দেন- ‘এখন কাউকে গালি দিতে ইচ্ছে করলে বলা যাবে-তুই একটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’।