বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এখন ঢাকা

বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনবহুল শহরের তালিকায় ব্যাপক উত্থান হয়েছে ঢাকার। বাংলাদেশের রাজধানী শহরটি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এর আগে ২০০৯ সালে নবম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টস ২০২৫’ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। এর পরই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম নগরীতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে ঢাকা।

খবরে বলা হয়েছে, জাকার্তায় ৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করে। এর পরেই রয়েছে ঢাকা, যেখানে ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে। ঘনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত নিম্ন-উপকূলীয় শহর জাকার্তা দ্বিতীয় স্থান থেকে শীর্ষ জনবহুল শহরে পরিণত হয়েছে এবং জাতিসংঘের সাম্প্রতিক মূল্যায়নে এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল শহর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

জনসংখ্যার ঘনত্বের এই তালিকায় ঢাকার পরেই রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও, যার মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লাখ। টোকিও তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও এর আগে শহরটির অবস্থান ছিল নবমে। তবে ২০৫০ সালের মধ্যে এই শহরটি বিশ্বের বৃহত্তম শহর হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে ১৯টি এবং শীর্ষ ১০টির মধ্যে নয়টিই এশিয়ায় অবস্থিত। শীর্ষ ১০ এর মধ্যে থাকা অন্য এশীয় শহরগুলো হলো: ভারতের নয়াদিল্লি (৩ কোটি ২ লাখ), চীনের সাংহাই (২ কোটি ৯৬ লাখ), চীনের গুয়াংজু (২ কোটি ৭৬ লাখ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা (২ কোটি ৪৭ লাখ), ভারতের কলকাতা (২ কোটি ২৫ লাখ) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (২ কোটি ২৫ লাখ)।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার শহর মিসরের কায়রো এশিয়ার বাইরের একমাত্র শহর, যেটি শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে রয়েছে।

অপরদিকে আমেরিকা অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে থাকেন ১ কোটি ৮৯ লাখ মানুষ। সাব-সাহারান অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাইজেরিয়ার লাগোস।

জাতিসংঘ বলেছে, ঢাকার জনসংখ্যা এত বাড়ার কারণ হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাজধানীতে দলে দলে এসেছেন। যাদের অনেকে কাজ বা সুযোগের সন্ধানে, অনেকে বন্যা ও সমুদ্রস্তর বাড়ার ঝুঁকির কারণে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।