টানা আট জয়ে বিপিএলে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুর রাইডার্সের শেষটা এমন হবে কে ভেবেছিল! দুরন্ত ফর্মে থাকা দলটা যেন জিততেই ভুলে গেছে। লেগ পর্বে টানা চার হারের পর সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) উড়ে গেল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটরেও। আন্দ্রে রাসেল-টিম ডেভিড-জেমস ভিন্সদের মতো টোয়েন্টির নামিদামি তারকাদের এনেও মাত্র ৮৫ রানে অলআউট। এমনকি ব্যাট করতে পারেনি পুরো ২০ ওভারও। হারতে হারতে বিপিএল থেকে বাদই পড়ে গেল তারকা ঠাঁসা রংপুর।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ছোট এই লক্ষ্য নাঈম শেখ-অ্যালেক্স রসের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বল হাতে রেখে জিতল খুলনা। ১০.২ ওভারে ৯ উইকেটের এই জয়ে ফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা। আগামী ০৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনার প্রতিপক্ষ হবে ফরচুন বরিশাল-চিটাগং কিংস প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয়ী দল।
নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন জাদুতে এলোমেলো হয়ে যায় রংপুরের ব্যাটিং অর্ডার। যে বিদেশিদের ব্যাটে ভরসা খুঁজছিল দল, তারাই হতাশ করেছেন সবচেয়ে বেশি। জেমস ভিন্স, টিম ডেভিড আর আন্দ্রে রাসেল মিলে তুলেছেন ১২ রান। নামে ডাকে ব্যাটিং অর্ডার ভারী হলেও দলের সর্বোচ্চ রান এসেছে টেইলএন্ডার আকিফ জাভেদের ব্যাট থেকে। নইলে দলীয় রান ৮৫ হতো কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে আকিফ জাভেদের ভেতরে ঢোকা বলগুলোতে বেশ ভুগেছেন খুলনা অধিনায়ক মিরাজ। তৃতীয় বলে তেমনই এক ইন্সুইংগারে বোল্ড হন আগের ম্যাচে ৭৪* রানের ইনিংস খেলে দলকে প্লে অফে তোলা এই ডানহাতি ব্যাটার।।
সেই ধাক্কা অবশ্য সামলে উঠতে সময় নেননি নাঈম শেখ আর অ্যালেক্স রস। দুই ব্যাটার মিলে পাওয়ারপ্লেতেই তুলে ফেলেন ৫১ রান। আগের ম্যাচে রান না পেলেও ছন্দে ফিরেছেন নাঈম। অফস্পিনার শেখ মাহেদীকে দুই ছক্কা আর এক চারে পিটিয়ে তাণ্ডব শুরু নাঈমের। যদিও ইনিংসের প্রথম চারটা এসেছিল প্রথম ওভারে রসের ব্যাট থেকে। অষ্টম ওভারে আন্দ্রে রাসেলকেও মেরেছেন দুই চার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েছেন ৬০ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত জুটি। ম্যাচ জেতানো ছক্কা মেরে ৩৩ বলে ৪৮* রানে মাঠ ছেড়েছেন নাঈম। হয়েছেন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। রস অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ১৯ রানে।