আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানো সব মিলিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে জ্বালানি তেলের বাজারে। এরই মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর সহযোগিতার ফলে চলতি বছর বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বাজার চাঙ্গা হতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) বলছে, চলতি বছর বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রি ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
প্যারিসভিত্তিক আন্তঃসরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিক্রি হওয়া বিশ্বের প্রতি পাঁচটি গাড়ির একটি হবে বিদ্যুৎচালিত। গত বছর প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা ‘ইভি’র বিক্রি এক কোটির লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে। চলতি বছর এ সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ছাড়াতে পারে। যার অর্থ হলো সামগ্রিকভাবে বাজারে ১৮ শতাংশ গাড়িই হবে বিদ্যুৎচালিত। গত বছর যা ছিল ১৪ শতাংশ।
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, ‘নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এগুলো বৈশ্বিক গাড়ি উৎপাদন শিল্পেও ঐতিহাসিক পরিবর্তন বয়ে আনছে।’ ‘আমরা যেসব প্রবণতা লক্ষ করছি, তার সঙ্গে বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বলানিভিত্তিক ইঞ্জিন শতাব্দীর বেশি সময় ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।’ ‘গাড়ি কেবল এই খাতের প্রথম ঢেউ : সামনের দিকে বিদ্যুৎচালিত বাস এমনকি ট্রাকও আসবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ কয়েকটি বড় অর্থনীতি তাদের রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন ডিজেল ও পেট্রোল গাড়ি এবং ভ্যান বিক্রি বন্ধ করতে চায়। আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া ২০৩৫ সালের মধ্যে নতুন পেট্রোলচালিত যানবাহন বিক্রি নিষিদ্ধ করবে।