বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার স্থাপন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। সংগঠনটির অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা খাতে এ জাতীয় দ্বৈতনীতি কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন।
সম্প্রতি দেশে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মোনাস কলেজের (অস্ট্রেলিয়া) শাখা স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্বেগের কথা জানায় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হবে না মর্মে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/ স্টাডি সেন্টার পরিচালনার আকর্ষিক অনুমোদন দেয়া হয়। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সাথে সাংঘর্ষিক।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ট্রাস্ট আইন-১৮৮২ অধীন অলাভজনক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস/ স্টাডি সেন্টার কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল গঠন, শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ও বৃত্তি প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ নানা বিধি থাকলেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধিমালা রাখা হয়নি।
বৈষম্যমূলক বিধির আওতায় সহজ শর্তে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনার অনুমোদন কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। নিম্নমানের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সর্বস্ব ক্যাম্পাস পরিচালনার মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের আশংকা রয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।