বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করছেন সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ, তাদের প্রতি সম্মান জানাতে পুষ্পস্তর্বক ও ফুল হাতে জড়ো হন লাখো মানুষ।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর সকাল ৭টায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরপ্রতীক), গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রিফাত রশীদসহ বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানান।

এরপরই সরকারি-বেসরকারি নানা সংগঠন, পেশাজীবী পরিষদ আর জনতার ঢল নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ বেদি ভরে যায় শ্রদ্ধার ফুলে। একইসঙ্গে দলে দলে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় অনেককে লাল-সবুজের পোশাক পরে হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। শিশু কিশোর থেকে বয়োবৃদ্ধরাও আসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।

১৯৭১ সালের এদিনে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেন মুক্তিগামী বাঙালীরা। এতে পৃথিবীর বুকে স্থান পায় নতুন একটি মানচিত্রের। সেই মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকাকে তুলে বাঙালি জাতি। এতে ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ওই পতাকা। তাদের সম্মান জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রাঙ্গণে এসেছে হাজারো মানুষ।

Comments (0)
Add Comment