আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যখন করোনার ভ্যাকসিন আসে, তখন বিএনপি বলেছিল- তারা এ ভ্যাকসিন নেবে না। ভ্যাকসিন নিয়ে নানা অপপ্রচারও চালিয়েছিল তারা। একদিকে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ভ্যাকসিন নেন, অন্যদিকে বিএনপি নেতারা ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা করেন। আসলে বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, করোনার মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তখনও বিএনপি নেতাকর্মীরা এক ফোঁটা চাল দিয়ে কাউকে সহযোগিতা করেননি।
ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নানক বলেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও অভ্যন্তরীণ সুবিধাবাদী উচ্চাভিলাষী একটি গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়ান ইলেভেন ঘটায়। আওয়ামী লীগ যখনই কোনো সংকটের মুখোমুখি হয়, তখনই কিছু মোশতাক আহমেদ দল থেকে বেরিয়ে যায়। এই মোশতাকরা বর্ণচোরা। এরা দলের সঙ্গেই রয়েছে। এদের চিনতে হবে। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করেছিল এবং এর পেছনে যারা নীলনকশা এঁকেছিল, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশের গণতন্ত্রকে মাইনাস করতে চেয়েছিল; বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়া হোক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।