আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনেও ঢেউ তুলতে পারেনি বিএনপি। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির তাদের আন্দোলন নেতাদের মধ্যে সীমিত।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নবকুমার ইনস্টিটিউটে শহীদ মতিউরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। বিএনপি ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৪ এপ্রিল, ১০ জানুয়ারি, ২৪ জানুয়ারি মানে না, পালন করে না।
ইভিএম নিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেবো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল এবং এই বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান তা হলো স্বাধীনতা। আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো ছিল না। বঙ্গবন্ধু যে বিপুল সংখ্যক আসনের জয় লাভ করেছিল, একমাত্র তারই বৈধ অধিকার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা। কাজেই অন্য কারো স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোনো অধিকার ছিল না, অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটা হলো বাস্তবতা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না, এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদে মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।