বায়ু দূষণ রোধে ঢাকায় বিশেষ অভিযান শুরু

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (এআইকিউ) তথ্যমতে, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

এমন পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ রোধে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর। বায়ু দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের বিরুদ্ধে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ অধিদফতর।

এর আগে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপির এক সভায় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি এ নির্দেশ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

সেইসঙ্গে হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহারসহ শব্দ দূষণ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককেও নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী। সভায় মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদফতরে বর্তমানে কর্মরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বুধবার থেকেই বায়ু দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের বিরুদ্ধে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হবে। দেশের বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। তাই বায়ুদূষণ রোধে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য আন্ত মন্ত্রণালয় সভা করে কার্যকর আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে, বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে শীতকালে ঢাকার বাতাস ১৬ গুণ বেশি দূষিত থাকে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্মল বায়ুর মানমাত্রার চেয়ে খারাপ থাকে বছরের ৩১৭ দিন। মাঝে মধ্যে এটা ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে চলে যায়।

ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ অর্থাৎ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুহার বাড়ে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে বিগত আড়াই মাসে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৯ জন। এর মধ্যে ৯৬ জনই মারা গেছেন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে।

Comments (0)
Add Comment