বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ২৭৩ স্কোর নিয়ে ঢাকা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
সোমবারও (২৭ জানুয়ারি) এই শহরের বাতাস একিউআই ২৯৫ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত হিসেবে শীর্ষে ছিল। দূষণের মাত্রা সামান্য কমলেও মঙ্গলবারও শীর্ষস্থানে ঢাকা। এই মানের বাতাসকে মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের নয়া দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২৫৭, ১৯৯ ও ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।