বান্দরবান পৌরসভায় নিজ বাড়ি থেকে রুম্পা দাশ নামে এক নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বনরুপা পাড়া ২নং গলির বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া কয়েক ঘণ্টা আগে রুম্পা দাশ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মানুষ’ অন্য আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘একদিন পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করতে হবে।’
রুম্পা দাশ বান্দরবান সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর এলাকার সাধুর দোকান ১নং ওয়ার্ডের সন্তোষ দাশের মেয়ে। তার স্বামী সৌরভ কুমার ঢালী পুলিশের মেকানিক্যাল বিভাগের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে স্ত্রী রুম্পা দাশের ঝুলন্ত মরদেহ জানালা দিয়ে দেখতে পান স্বামী সৌরভ কুমার ঢালী। পাশেই ছিল তার দেড় বছরের শিশু অভয় কৃষ্ণ।
মৃতের স্বামী সৌরভ বলেন, রবিবার স্বাভাবিকভাবেই রাতের খাবার সেরে এক রুমে দেড় বছরের শিশু অভয় কৃষ্ণকে নিয়ে রুম্পা ঘুমাতে যায়। অন্য রুমে আমি একাই শুয়েছিলাম। সকালে ডাকাডাকির পরও রুমের দরজা বন্ধ পেলে, ঘরের পেছনের জানলা দিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশে খবর দিলে সবার উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে রুম্পা দাশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, এখনও এটি স্বাভাবিক আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। রুম্পা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য বাইরেও যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি রুম্পা দাশের মা ঝর্ণা দাশের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, লাশের সুরতহাল পরীক্ষা করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদেরও জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া নূর লিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।