সারাবিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ায় এবার বাতিল হতে পারে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন হজ। এরই মধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের মক্কা সফর বিলম্ব করে জুলাইয়ের শেষদিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটি হজ বাতিলের বিষয়ে পরিষ্কার ভাষ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এটা ঘটলে তা হবে আধুনিক ইতিহাসের বিরল ঘটনা। কারণে ২২২ বছর আগে শেষবার হজ স্থগিত হয়েছিল। বাৎসরিক হজ চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়, যা সর্বশেষ ১৭৯৮ সালে বাতিল হয়েছিল।
মুসলমানদের পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনা হজযাত্রীদের জন্য প্রধান কেন্দ্র। এ দু’টি শহরই করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এক মাস আগে পর্যটকদের প্রবশে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারীর সময়ও এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া হজের আগেই করোনা নির্মূলের ক্ষীণ আশায় দেশের অভ্যন্তরে চলাচলে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এরই মধ্যে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আরও কয়েক বেশ মাস এর প্রাদুর্ভাব চলবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব বিমান কোম্পানি তাদের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের শেষদিকেও তীর্থযাত্রীদের এ ধরনের গণজমায়েত আয়োজন করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহর মন্ত্রী মুহম্মদ সালেহ বিন তাহের বাতেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘সৌদি আরব বিশ্বের সব মুসলিম ও নাগরিকের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত। এ কারণেই আমরা বিশ্বের সব মুসলিমের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমদের পরিষ্কার ঘোষণা দেওয়ার আগে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবেন না।’
কিংস কলেজ লন্ডনের ওয়্যার স্টাডিজ বিষয়ের প্রভাষক শিরাজ মাহের বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের এই সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত রাখছে যে, হজ বাতিল হতে পারে।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।