যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা এখনো অনিশ্চিত। এই মুহুর্তে জো বাইডেন ২৩৮টি এবং ডনাল্ড ট্রাম্প ২১৩ টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। চূড়ান্ত বিজয়ী প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০ টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। সুতরাং বাইডেনকে পেতে হবে আরো ৩২টি ইলেকটোরাল ভোট এবং ট্রাম্পকে পেতে হবে আরো ৫৭ টি।
এপির তথ্য মতে, ফল ঘোষণার বাকি ৬ রাজ্যের (উইসকনসিন, মিশিগান, নেভাদা, পেনসিলভ্যানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়া) মধ্যে উইসকনসিন, মিশিগানে ভোট গণনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ দুটি রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোট যথাক্রমে ১০ টি এবং ১৬ টি। দুটিতেই এগিয়ে বাইডেন। ৬ টি ইলেকটোরাল ভোটের মালিক নেভাদারও দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট গণনা শেষ। সেখানেও এগিয়ে বাইডেন। অর্থাৎ তিনটি রাজ্যের মোট ইলেকটোরাল ভোট (১০+১৬+৬) ৩২ টি এবং তিন জায়গাতেই বাইডেন এগিয়ে। এই ৩২ টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেলে বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোট হবে (২৩৮+৩২) ২৭০ টি। সেক্ষেত্রে বাইডেনই হয়ে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে পেনসিলভ্যানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়াতে এগিয়ে ট্রাম্প। এ তিনটি রাজ্যের মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫১ টি। ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল ভোটের সাথে এই তিনটির মোট ইলেকটোরাল ভোট যোগ করলে হয় (২১৩+৫১) ২৬৪। সেক্ষেত্রে বিজয়ী হতে ৬ টি ইলেকটোরাল ভোটের ঘাটতি থেকে যাবে ট্রাম্পের। আবার পেনসিলভ্যানিয়াতে এখন পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশের কম ভোট গণনা হয়েছে। ফলে এখানেও বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে অনেক বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন বাইডেন।
কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ নেভাদায় (৬ ইলেকটোরাল ভোট) ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে পিছিয়ে এবং পেনসিলভ্যানিয়াতে (২০ ইলেকটোরাল ভোট) ভালো ব্যবধানে এগিয়ে।
সেক্ষেত্রে এ দুটি রাজ্যে ট্রাম্প জয় পেলে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট হয়ে যেতে পারে ২৭০! সেক্ষেত্রে গণেশ উল্টে যেতে পারে বাইডেনের জন্য।