করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবরে বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা দিয়েছে বৃটিশ সরকার। বলা হয়েছে, চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ আরো অনেক দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ বৃটিশ বাংলাদেশ সফর করেন। তাদের বেশির ভাগই সমস্যামুক্ত অবস্থায় সফর শেষ করেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করতে এসব কথা বলেছে বৃটিশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিয়মিত ভ্রমণ সতর্কতায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের মতো মশাবাহিত রোগ সারা বছরই প্রায় লেগে থাকে।
ঢাকা সহ বাংলাদেশে এর আগে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। এ ছাড়া জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে বলে বাংলাদেশকে ক্লাসিফায়েড করেছে বৃটিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া ভ্রমণ সতর্কতায় বাংলাদেশে সন্ত্রাস, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কেও বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শনের সময় বৃটিশ নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে হামলা চালানোর বড় ঝুঁকি রয়েছে। তাদের এই হুমকি সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য। ২০১৯ সালে ঢাকা ও খুলনায় পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে টার্গেট করে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে এমন হামলা হয়েছে চট্টগ্রামে। জনগণ সমবেত হন এমন স্থান, যেমন ধর্মীয় সভাসমাবেশ, রাজনৈতিক র্যালি, জনবহুল এলাকা, পুলিশ বা নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের উপস্থিতি আছে এমন স্থান এবং বিদেশীরা মিলিত হন এমন স্থান ভবিষ্যতে হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। আরো বলা হয়েছে, মাঝে মাঝেই রাজনৈতিক দলগুলো ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারীদের মধ্যে বিশৃংখলা অথবা সংঘর্ষ হয়। এর বাইরে বাংলাদেশের জনস্বার্থের জন্য বড় একটি বিপদের নাম ভয়াবহ বায়ু দূষণ। বিশেষ করে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয় শীতকালে। বর্তমানে ঢাকার দূষণ চরম আকারে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।