বাংলাদেশে ক্যাম্পাস খুলতে চায় বৃটেনের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বৃটেন বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, বিশ্বময় খ্যাতি রয়েছে এমন অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ক্যাম্পাস খুলতে চায়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশের যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীর বিদেশে পড়াশোনা কষ্টকর তাদের জন্য এখানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতর শিক্ষার সূযোগ সৃষ্টিই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। হাই কমিশনারের মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনায় বাংলাদেশের আরো বড় বিনিয়োগে আগ্রহী তার দেশের বিজনেস কোম্পানীগুলো। অন্তত ১০-১৫টি কোম্পানী অর্থ-সংক্রান্ত, তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যখাতে বিনিযোগ করতে চায় বলে জানান তিনি। বুধবার মধ্যাহ্নে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান। মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও বৃটেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম বাণিজ্য সংলাপের আউটকাম জানাতে ওই ব্রিফিংয়ের আয়োজনে করে হাই কমিশন। সেখানে বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা খাতে বৃটেনের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে রবার্ট ডিকসন বলেন, বাণিজ্য সংলাপে আন্তরাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় তারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

কারিগরি ও পেশাগত কাজের জন্য বিশেষায়িত বৃটেনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশে এসে শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার মতো সাফল্য নিশ্চিত করতে চায় বলেও জানান তিনি। শিক্ষা বা যে খাতেই নতুন বিনিয়োগ হোক না কেন তার পূর্বশর্ত হিসাবে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন হাই কমিশনার ডিকসন। মঙ্গলবারের ব্যাণিজ্য সংলাপে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, পদ্ধতিগত অনিশ্চয়তা, চুক্তি বাস্তবায়নের শর্তাবলি সহজীকরণ, দুর্নীতি রোধ এবং করের হার কমাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এর পূর্ণ বাস্তবায়ন।

Comments (0)
Add Comment