দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল-এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এর পর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সমাবেশে যোগ দিতে ভোর থেকেই হাজারও মানুষ জড়ো হন পূর্বাচলে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ও এলিভেটেড উভয় সুবিধাসংবলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে।
২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে উল্লেখ করে সিদ্দিক বলেন, ডিএমটিসিএল এই মেগাপ্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এমআরটি লাইন ১-এর দুটি অংশ থাকবে— একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯.৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুনবাজার থেকে প্রায় ১১.৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে।
অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুনবাজার এবং নদ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জাইকা) এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজের জন্য ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকার ব্যয়ভার বহন করবে।
এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসাবে দেবে ৩৯,৪৫০.৩২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। জাপানি ফার্মের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বিমানবন্দর-কমলাপুর-পূর্বাচল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজ তদারকি করবে।
এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।