বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়

নাঈম হাসানের বলটি ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল, লেংথে পড়ে হালকা লাফিয়ে ওঠায় টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে শট লেগে ক্যাচ যায়। জাকির হাসান কিছুটা এগিয়ে থাকায় এ যাত্রায় বেঁচে যান মিচেল। এক বল পর একইরকম ডেলিভারি নাঈমের। এবার লাফিয়ে ওঠার আগে সুইপ করতে চেয়েছিলেন মিচেল, তাতেই কাল হলো।

স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন তাইজুল ইসলাম। হতভম্ব মিচেল মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না, শেষ সব শেষ! নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনা যেটুকু ছিল, ওখানেই বিলীন হয়ে যায়।

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের কাব্য গাঁথা হয়েছিল ম্যাচের চতুর্থ দিনে। আজ ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

সে পথে বাঁধা ছিলেন একমাত্র মিচেল। আজ শেষ দিনের সকালের সেশনে আধা ঘণ্টা যেতেই মিচেলের উইকেট তুলে নেন নাঈম। এর পরেও অবশ্য ২ উইকেট ছিল সফরকারীদের। তবে ম্যাচ বাঁচানোর সাধ্য ছিল না আর।

তাতে যেখানে নিউজিল্যান্ড দলে বিষাদের অবয়ব, সেখানে উৎসব-উন্মাদনা বাংলাদেশ দলে। এই আনন্দ নিউজিল্যান্ডকে হারানো, ঘরের মাঠে কিউইদের হারিয়ে টেস্ট জয়ের।

৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল ১১৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। আজ শেষ দিনে হাতে থাকা ৩ উইকেটে তাদের প্রয়োজন ছিল ২১৯ রান। মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রানে দিন শুরু করেন।

তবে সুবিধা করতে পারেননি। আগের দিনের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করে বাকি ৩ উইকেট হারায় কিউইরা। এতে গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে। ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা প্রথমবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় টাইগারদের।
এমন জয়ে উজ্জ্বল তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া এই বাঁহাতি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট এই বাঁহাতি স্পিনারের।