বাংলাদেশকে কেউ আর করুণার চোখে দেখে না, সম্মানের চোখে দেখে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাব, ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হব। এটুকু বলতে পারি।
বুধবার (০২ মার্চ) ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি)’ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন সুন্দর হয়, সম্মানজনক হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। যেটা জাতির পিতা সব সময় চাইতেন, বলতেন।
স্বজন হারানো বেদনা নিয়ে আমি একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি জানিয়ে তিনি বলে, যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সেটা আমাকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। এই একটা জায়গায় আমি বলব আমাকে করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা তখনও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সচল রাখতে পেরেছি। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। এই অতিমারির সময়ও সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন কিন্তু সেই অল্প সময়ে মধ্যেই একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে পরিণত করে তিনি আমাদের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন। সেই সময় সংবিধান তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেয়া এবং পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেন তিনি।
অথচ ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও জাতির পিতার খুনীচক্র ক্ষমতায় এসে দেশকে সামনের দিকে না নিয়ে আরো পিছিয়ে দেয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সরকার প্রধান বলেন, মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস এই মাসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছেন। যিনি আমাদের স্বাধীনতার পাশাপাশি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছেন। এই মাসের ৭ মার্চ জাতির পিতা যে ভাষণ দিয়েছেন তা আজ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। আর ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।