বরগুনায় বেড়েই চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৪৮ জন। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২০০-২৫০ জন আক্রান্ত রোগী। সবমিলিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে প্রতিদিন অন্তত ৫০০-৬০০ জন ভর্তি রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্স সংকট থাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স পদায়ন করা হয়েছে। ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পদায়নকৃত ৫ জন চিকিৎসক এবং ৯ জন নার্স এখনো হাসপাতালে যোগদান করেননি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫২ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ১১ জন। বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৭ জন রোগী। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল আরও আক্রান্ত রোগী ভর্তি রেয়েছে ২৫ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৮ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে শুধু বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এদের মধ্যে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জেলার আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮১৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগীই ভর্তি যোগ্য নয়। অন্য জেলার সঙ্গে এ জেলার পার্থক্য হচ্ছে- এক দিনের জ্বর নিয়েও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এমনিতেই বরগুনা হটস্পট এবং আক্রান্ত হওয়া রোগীর ভর্তি সংখ্যা বেশি। এ কারণেই আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমছে না শুধু বেড়েই চলছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছে। তবে পাতলা পায়খানা, বমি এবং মাথা ব্যথাসহ শারীরিক কোনো জটিলতা হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য আমরা সবাইকে মেসেজ দিচ্ছি।