গান্ধী পিস প্রাইজ বা গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ওমানের দীর্ঘদিনের শাসক সুলতান কাবুসকে। ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য মরণোত্তর হিসেবে প্রথম এই অভিজাত পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে এই দুই মহান নেতাকে। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক কোটি রুপি, একটি মানপত্র, একটি ফলক এবং প্রচলিত একটি হাতেবোনা ঐতিহ্যবাহী তাঁত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।
এতে আরো বলা হয়, ২০২০ সালের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই পুরষ্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে বাংলাদেশে আসার আগে। আগামী ২৬শে মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে কর্মসূটিতে অংশ নেবেন মোদি। একই দিনে তিনি অংশ নেবেন তিনটি যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে। এগুলো হলো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ, ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
মোদির ভ্রমণের সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এখানেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকারের কবর রয়েছে। একে বলা হয় বঙ্গবন্ধুর সমাধি।
এ ছাড়া বাংলাদেশে আরো ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিন কাটাবেন মোদি। গান্ধী পিস প্রাইজের জুরি বোর্ডের প্রধান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বঙ্গবন্ধুকে মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে ভারতীয়দের কাছে তিনি একজন হিরো বলেও মন্তব্য করেছেন মোদি। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে উদ্বুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর অসীম অবদানের স্বীকৃতি হলো এই অভিজাত পুরষ্কার। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিনি দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করেছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও অহিংসাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন ওমানের দীর্ঘদিনের শাসক সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ। অস্থির পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য তাকে এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মিমাংসার আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছেন।