বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ডিএমপি’র ভিন্ন আয়োজন

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। সুবিধাবঞ্চিত ৭০ জন শিশু অতিথির আগমনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ কার্যালয় দিনভর ছিল উৎসবমুখর।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’ নামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। এর আগে শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এসময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিশুদের প্রথমে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর তাদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। আজীবন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু সবসময় বলেছেন যে আমার মূল লক্ষ্য, বাংলার দরিদ্র, নিঃস্ব, নিপীড়িত মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। শিশু দিবস উপলক্ষে আমরা এটাই মনে করি, যারা নিঃস্ব, দরিদ্র, পথশিশু অর্থাৎ যারা আমাদের এ সমাজে অনাদরে-অবহেলায় বেড়ে উঠছে তাদেরকে যদি বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শে অনুপ্রাণিত করা যায়, যে বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন, কেমন ছিলেন, দেশের জন্য কী করে গিয়েছেন, দেশের জন্য কতটুকু আত্মদান করেছেন এটি যদি আমরা সমস্ত শিশু বা পথশিশুদের বুঝাতে পারি তাহলে আমরা মনে করি, জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সার্থক হবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ কিন্তু আজকে যারা শিশু তারাই একসময় সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা এই বার্তাই দিতে চাই যে, বঙ্গবন্ধু এই দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন এবং আমাদেরকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমাদের শিশুরা যারা বড় হচ্ছে তারা যেন বঙ্গবন্ধুর এই আত্মত্যাগ, তার অবদানসহ তিনি যে কষ্ট সহ্য করেছেন এটুকু যেন আমরা শিশুদের মধ্যে অনুপ্রাণিত করতে পারি এবং প্রত্যেকটি শিশু যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। ’’

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাচরণ, জীবনদর্শন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার শিশুদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর’ পরিদর্শনে যান। সেখানে শিশুরা জাদুঘরের প্রতিটি তলা ঘুরে ঘুরে দেখে। এসময় তাদের জিজ্ঞাসু মনের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments (0)
Add Comment