বইমেলার ভেতরে ও সামনে হরেক রকমের পণ্য নিয়ে বসেছে হকাররা। খেলনা থেকে ঘরের আসবাব পত্র কি নেই এখানে! দেখে মনে হতে পারে বাণিজ্য মেলা। ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি থেকে পান, জর্দা, সুপারিশ কি লাগবে? সব মিলছে বইমেলার ভেতরেই।
বই মেলায় ফুড কর্নার থাকা সত্ত্বেও হকারদের দখলে বই মেলা। যার যা খুশি তাই করছে এই আসরে। এ যেন হকারদের মেলা। তারা বলছেন বেশি টাকার আশায় ঢুকে পড়ছেন বই মেলায়।
লেখক প্রকাশকরাও তাই প্রশ্ন তুলেছে বাংলা একাডেমির এই আয়োজনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। অন্যদিকে পুরোনো তেলে খুব মন দিয়ে চলছে ভাজাপোড়া বানানোর কাজ। বই মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেটের সামনে চলছে মহাযজ্ঞ।
বই মেলার প্রবেশ পথ প্রায় বন্ধ করে চলছে হকারদের বেচা বিক্রি। যারা যাতায়াত করছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।
আর গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হকারদের সরাতে চেষ্টা করে। তবে তখনও চলে চোর পুলিশ খেলা। একদিক দিয়ে সরালে অন্যদিক দিয়ে হাজির তারা।
মেলার শৃঙ্খলার বিষয়ে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করলেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির ব্যাপারটিও উঠে আসে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বক্তব্যে।
পুলিশ ও আনসার বাহিনী যেখানে হকার মুক্ত করার কথা সেখানে দেখা মিলল তারাই তাদের ক্রেতায় পরিণত হয়েছে।