নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মানুষের জন্য পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনায় কোনও ধরনের জামানত ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে ব্যাংক। আর এই ঋণের সুদহার ৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ পরিশোধে ১৮ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর সময় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ঋণের কিস্তি দেড় বছর পর থেকে দেওয়া শুরু করবে গ্রাহকরা।
রোববার (২৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা সার্কুলারে পরিবেশবান্ধব খাতে বিদ্যমান ৪০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের বিষয়টি নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে ফ্ল্যাট কেনাসহ কয়েকটি প্রকল্পসহ মোট ৬৮ পণ্যে এই ঋণ দেওয়া হবে। আগের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে পরিবেশবান্ধব ৫৫ পণ্য/প্রকল্প/ উদ্যোগে ঋণ দেওয়া হতো।
বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদ হার সব পর্যায়ে ১ শতাংশ করে কমানো হয়েছে। পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এতদিন ৪ শতাংশ সুদে তহবিল পেত। যা কমিয়ে এখন ৩ শতাংশ করা হয়েছে। আর ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে এই ঋণ দেবে। এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম মেয়াদী ঋণে সর্বোচ্চ সুদ হার হবে ৫ শতাংশ, পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি মেয়াদে ৬ শতাংশ।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ছাড়াও বহুতলবিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণেও ঋণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আবাসন কোম্পানি অনধিক ৭৫০ বর্গফুট পরিসরের ফ্ল্যাট সম্বলিত পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। কোম্পানির জন্যও সুদ হার, ঋণের মেয়াদ ও গ্রেস পিরিয়ড অপরিবর্তিত থাকবে।
এ ছাড়া পুনঃঅর্থায়নের কর্মসূচির আওতায় বনায়ন (সামাজিক, সমন্বিত/কৃষি), ছাদের কৃষি/উল্লম্ব চাষ বা বাগান, বায়োফ্লক মাছ চাষ, জৈব চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, কেঁচো কম্পোট সার উৎপাদন, স্লারি হতে জৈবসার প্রস্তুতেও ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো।