ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি কিভাবে দেওয়া যায়, তার উপায় বের করতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
গ্রাফিকস, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, স্মার্টফোন অ্যাপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে যাঁরা নিজেদের মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলেছেন, তাঁদের জন্য সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রিল্যান্সারদের পেশাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
একনেক বৈঠকে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন স্টোর স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাঁরা কেরানি বা অন্য সরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি টাকা আয় করেন। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ করা হয় না। অভিভাবকরা মেয়েদের ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে বিয়ে দিতে আগ্রহী নন। বরং ওই কেরানিরাই বেশি অগ্রাধিকার পান। এ জন্য ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কী ধরনের স্বীকৃতি দেওয়া যায়, সেটি ভাবতে হবে। প্রয়োজনে কোনো সনদ দেওয়া যায় কি না, সেটি ভাবতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কী করা যায় তার উপায় বের করতে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলককে দায়িত্ব দিয়েছেন।