ফ্রান্সে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ইমামরা। সেদেশে ইমামদের ‘প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সনদ’ নামে নতুন এক সনদে স্বাক্ষর করার যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তার বয়ান নিয়ে কথা বলতে ফ্রান্সের মুসলিম কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সনদে সই করার বিষয়টি ফ্রান্সের মুসলমানদের মধ্যে একটা বড়ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের বিশেষ করে উদার মানসিকতার ইমামরা এই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন।
দেশটির নয়টি পৃথক মুসলিম সংগঠনের জোট এই ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ বা সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে।
ফ্রান্সে এই সনদ নিয়ে বিতর্ক চললেও ফ্রান্সের সরকার এই সনদ কার্যকর করতে এবং ইমামদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে যে বদ্ধপরিকর তার একটা প্রমাণ ফ্রান্সে পাকিস্তানের এক ইমামের সাম্প্রতিক কারাদণ্ড।
প্যারিসের উত্তর শহরতলীর একজন পাকিস্তানি ইমাম লুকমান হায়দারকে দিনকয়েক আগে, ২৭শে নভেম্বর, ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে টিকটক প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দিয়ে ভিডিও বার্তা পোস্ট করার জন্য।
ইমাম লুকমান হায়দার নামের ওই ইমামের সাজা খাটা শেষ হলে তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে।
ফ্রান্সের মুসলিম কাউন্সিল সিএফসিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদের রেক্টর শেম্স এডিন হাফিজ বলেছেন, এই মূল্যবোধের সনদের সবকিছুর সাথে আমরা সকলে একমত নই।
তবে তিনি বলছেন, ফ্রান্সে ইসলাম ধর্মের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক যুগ সন্ধিক্ষণ এবং মুসলিম হিসাবে আমরা একটা বড় দায়িত্বের মুখোমুখি।
তিনি বলছেন, আট বছর আগে তার চিন্তাভাবনা ছিল অন্যরকম। তিনি বিষয়টা দেখতেন ভিন্ন দৃষ্টিতে।