আবারও নিলামে উঠছে ৭৯টি বিলাসবহুল গাড়ি। কারনেট সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে আনা বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের পুরনো ১০৮টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল গত জুলাই মাসে। নানা জটিলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল ২৮টি গাড়ি। বাকি গাড়িগুলো এখন নতুন করে নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
শুক্রবার এই নিলামের ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ই-অকশন বা সরাসরি এসে দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। বিলাসবহুল ৭৯ গাড়িই বিএমডাব্লিউ, ল্যান্ড রোভার, ল্যান্ড ক্রুজার, মিত্সুবিশি, মার্সিডিস বেঞ্জসহ দামি ব্র্যান্ডের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আফসার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোন কোন গাড়ি নিলামে উঠবে সেটি আগামী রবিবার বিস্তারিত কাস্টমসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘নতুন করে যেহেতু নিলামে উঠছে সুতরাং এখানে আগের দর কার্যকর থাকবে না। নতুন করেই দরপত্র কিনতে হবে, নতুন করেই দর দিতে হবে। তবে এবার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা সিপি আমাদের নেওয়া আছে। ফলে ভোগান্তি নেই। সর্বোচ্চ দর দিয়ে যে গাড়ি পাবেন, তিনিই গাড়িটি ছাড় করতে পারবেন। ’
জানা গেছে, কারনেট সুবিধার আওতায় এনে বন্দরের ভেতর বছরের পর বছর আটকে থাকা এই ধরনের ১০৮টি গাড়ি কিনতে সর্বশেষ নিলামে ১২৬ ক্রেতা অফলাইন ও অনলাইনে অংশ নিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বলছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশ থেকে আসার সময় এসব গাড়ি ‘কার নেট দ্য প্যাসেজ’ সুবিধায় আনতেন। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়ার সময় আর ফেরত না নিয়ে দেশেই গাড়িগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করে দিতেন। আর কারনেট সুবিধায় আনা গাড়ির অপব্যবহার রোধে কাস্টমসের কড়াকড়ি আরোপের পর থেকেই এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাস নেওয়া বন্ধ করেন বিদেশি পর্যটক বা প্রবাসীরা। ২০১১ সালের পর থেকেই মূলত গাড়িগুলো বন্দর শেডে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন কনটেইনারের ভেতর এবং বাইরে পড়ে থাকার কারণে গাড়িগুলোর কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে।