করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য কার্যকরী কোনো টিকা সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত ফিলিপাইনে কোনো স্কুল খোলা হবে না। তবে আগস্টের শেষের দিকে অনলাইন বা টিভির মাধ্যমে ক্লাস নেয়া শুরু হবে। সোমবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তাদের ঘোষণা ঘিরে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এমন পদক্ষেপে দেশটির অনেক শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা তৈরিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক থেকে দুই বছরের আগে কোনো টিকা বাণিজ্যিকভাবে সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সোমবার ফিলিপাইনের শিক্ষামন্ত্রী লেওনর ব্রায়োনেস বলেন, আগস্টের শেষের দিকে অনলাইন বা টিভির ক্লাস নেয়া শুরু হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে, দরিদ্র বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাসকারী শিক্ষার্থীদের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য না থাকায় অনেক শিশু ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় দুই মাস পর সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জারি করা লকডাউন শিথিল করেছে ফিলিপাইন।
যদিও দেশটিতে প্রতিদিনই শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। লকডাউনে সংক্রমণের হার কিছুটা সীমিত হলেও, তার বিধ্বংসী প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির উপর। কাজ হারিয়েছেন লাখো মানুষ।
লকডাউন শিথিল হলেও চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ। এই নিষেধাজ্ঞা শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সোমবার দেশটিতে নতুন ৫৭৯ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪৭৪ জন। এর মধ্যে, প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১১ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকাররা। কিছু কিছু দেশ ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্কুল খোলার ঘোষণা দিয়েও তা ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড।